জনগণ ও ব্যবসায়ীরা দেশে নির্বাচিত সরকার চান: ফখরুল

0 10

কিছু ব্যক্তির পক্ষে বাংলাদেশকে স্বর্গে রূপান্তর করা অবাস্তব উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও ব্যবসায়ী সমাজ উভয়েই দেশে নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র চান।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

যেকোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

নি বলেন, ‘মানুষ এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চায়। তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায়। নির্বাচন হলে তারা খুশি হয় এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়। এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেউ যদি জনগণকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা জোর দিয়ে বলবেন, এখনই নির্বাচন করা দরকার।

‘দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনীতির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য। তারা স্পষ্ট করেই বলছেন, যত তাড়াতাড়ি এটি (নির্বাচিত সরকার) হবে ততই মঙ্গল।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বলছেন যে নির্বাচিত সরকার না থাকলে তারা সঠিকভাবে আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যবসা করতে উৎসাহ পান না।

‘এটাই বাস্তবতা। আপনারা (সাংবাদিকরা) ব্যবসায়ী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তা যাচাই করে দেখতে পারেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি যদি মনে করি যে একজন ব্যক্তি বা কয়েকজন ব্যক্তি স্বর্গ তৈরি করতে পারে, তবে তা ভুল। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে দেশ চলবে।’

‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পক্ষে। আমাদের দল এক বছর আগে সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা যৌক্তিক সময়সীমা এবং পূর্ণ সহযোগিতা করতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করব যে সরকার সঠিক পথে আছে, ততক্ষণ আমরা তা অব্যাহত রাখব।’

দ্রুত নির্বাচন দাবি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এক–এগারোর কথা ভুলে যাননি। তাই আবার যখন ওই চেহারাগুলো সামনে আসে তখন যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়, প্রশ্ন এসে যায়।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতন ও দখল নিয়ে বিএনপিকে লক্ষ্যবস্তু করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর এ কাজগুলো করা হচ্ছে আবারও এক-এগারোর মতো বিএনপিকে লক্ষ্য করে, বিরাজনীতিকীকরণের চেষ্টা থেকে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌক্তিক সময়সীমার ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটি আলোচনার বিষয়। আমাদেরকে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা কী চাই, তারা কী চায় এবং জনগণ কী চায় তা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে। আমি আগেও এ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছি এবং আজ আবারও বলছি। দ্রুত আলোচনা হওয়া উচিত। তা না হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল খানও উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.