এবার আলোচনায় আপসহীন

0 1

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। দলটির হয়ে বিভিন্ন সমাবেশ ও প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতি ছিল তার। রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডও ঘটিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২ সালের নির্বাচনে নিপুণকে বিজয়ী করতে তার পক্ষে অনৈতিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এত দিন ভয়ে কেউ এসব নিয়ে মুখ না খুললেও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিপুণের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনে বইছে সমালোচনার ঝড়।

২১ আগস্ট জানা গেল চমকপ্রদ এক খবর। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী নিপুণ নাকি ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার জীবন কাহিনী নিয়ে নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন! সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন প্রয়াত গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। প্রায় ১১ বছর আগে ‘আপসহীন’ নামের ওই সিনেমায় খালেদা জিয়া চরিত্রে গোপনে শুটিং করেছিলেন নিপুণ।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে আলোচনায় আসা এই সিনেমায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের চরিত্রে করেছেন হেলাল খান। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, নতুন করে আরও বড় আয়োজনে সিনেমাটি নির্মাণ করতে চান তিনি। নিপুণ নয়, অন্য কেউ অভিনয় করবেন এতে। সবকিছু ঠিক হবে খালেদা জিয়ার অনুমতিসাপেক্ষে। তাই এখনই আপসহীন মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানালেন তিনি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল বলেন, ‘এটি নির্মিত হয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্য হিসেবে। হেলাল খানের প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন আমার বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এটি মুক্তির বিষয়ে আমরা এখনও জানি না। এ নিয়ে ভালো বলতে পারবেন প্রযোজক হেলাল খান।’

হেলাল খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ মুহূর্তে সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে তার কোনো পরিকল্পনা নেই। খালেদা জিয়ার কাছ থেকে অনুমতি পেলে আরও বিশাল আয়োজনে নতুন করে সিনেমাটি বানাতে চান।

হেলাল খান বলেন, ‘২০১৩ সালে আপসহীন সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। সেসময় অনেক কিছু আমরা করতে পারিনি। এটি নির্মাণের পর একবার ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) দেখানো হয়েছিল। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই বিগত সরকার সিনেমাটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাই মুক্তিও দিতে পারিনি। এখনও সেভাবেই আছে। হঠাৎ করে এই সিনেমার নিউজ কে করছে, কেন করছে, এটাই বলতে পারছি না। এ সিনেমা নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা না বলে কোনো কথা বলতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাডাম যদি অনুমতি দেন, তাহলেই নতুন করে হবে আপসহীন। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজটি করতে হবে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ হয়নি। নতুন করে কাজটি করলে বিশাল আয়োজনে হবে। সিনেমার ক্যানভাস বাড়বে, অভিনয়শিল্পীদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ অভিনয় করেছিলেন, নতুন সিনেমায় অন্য কাউকে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.